হোয়াটসঅ্যাপ হলো একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে:
- টেক্সট মেসেজ পাঠাতে
- ভয়েস ও ভিডিও কল করতে
- ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট এবং লোকেশন শেয়ার করতে
- গ্রুপ চ্যাট করতে
- স্ট্যাটাস (Story) আপডেট করতে
- ইন্ড-টু-ইন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে নিরাপদে যোগাযোগ করতে দেয়
🔒 হোয়াটসঅ্যাপ লক কেন করবেন?
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেওয়া হলো:
গ্রুপ বা অফিসিয়াল চ্যাট সুরক্ষা:
অফিসের মেসেজ বা গ্রুপ চ্যাট গোপন রাখা জরুরি—তাই লক গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা:
আপনার মেসেজে হয়তো এমন তথ্য থাকে যা ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল—যেমন পারিবারিক কথা, ব্যাঙ্ক তথ্য, OTP ইত্যাদি।
বন্ধু বা পরিবারের কাছ থেকে প্রাইভেসি:
মাঝে মাঝে ফোন অন্য কেউ ব্যবহার করে। তখন তারা যাতে আপনার চ্যাটে ঢুকতে না পারে, তার জন্য লক দরকার।
চুরি বা ফোন হারিয়ে গেলে:
ফোন চুরি হলেও আপনার হোয়াটসঅ্যাপে কেউ ঢুকতে পারবে না যদি লক থাকে।
হোয়াটসঅ্যাপ লক করার জন্য আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আনলক বা পিন ব্যবহার করতে পারেন। নিচে Android ও iPhone উভয়ের জন্য ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেওয়া হলো—
Android এ হোয়াটসঅ্যাপ লক করার নিয়ম:
- হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন।
- উপরের ডান কোণে তিনটি ডট (⋮) এ ক্লিক করুন।
- Settings (সেটিংস) > Privacy (গোপনীয়তা)-এ যান।
- নিচের দিকে স্ক্রল করে Fingerprint lock (ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক) অপশনটি খুলুন।
- Unlock with fingerprint (ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আনলক) অপশনটি চালু করুন।
- আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করুন এবং লক চালু করুন।
- এখানে আপনি নির্ধারণ করতে পারেন তৎক্ষণাৎ, ১ মিনিট পর, বা ৩০ মিনিট পর লক হবে কি না।
iPhone এ হোয়াটসঅ্যাপ লক করার নিয়ম:
- হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন।
- নিচের ডান পাশে থাকা Settings (সেটিংস) অপশনে যান।
- Privacy (গোপনীয়তা) সেকশনে যান।
- নিচে স্ক্রল করে Screen Lock (স্ক্রিন লক) অপশনটি চালু করুন।
- এখন Face ID বা Touch ID নির্বাচন করুন।
- সময় সেট করুন – তৎক্ষণাৎ, ১ মিনিট, ১৫ মিনিট বা ১ ঘণ্টা পর লক হবে।
এভাবেই সহজে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ লক করে ব্যক্তিগত চ্যাট সুরক্ষিত রাখতে পারেন। 😊🔒